গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি গ্রিনিচ মান সময় রোববার সকাল গ্রীনিচমান সময় ০৬৩০টা থেকে কার্যকর হবে। চুক্তির মধ্যস্থতাকারী কাতার শনিবার এ কথা জানিয়েছে।কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘চুক্তির পক্ষ ও মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি গাজার স্থানীয় সময় ১৯ জানুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’ইসরাইলের মন্ত্রিসভা শনিবার বন্দীবিনিময় চুক্তিতে অনুমোদন দিলেও যুদ্ধবিরতি শুরুর সঠিক সময় স্পষ্ট ছিল না।
তবে ইসরাইল বলেছে, গ্রিনিচ মান সময় ১৪০০টার আগে কোনো বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে না।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা সকল রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং মানবিক দিক বিবেচনা করার পরে এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে বিধায় চুক্তিটি গ্রহণ করেছে।মন্ত্রিসভা সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার সুপারিশও করেছে। চুক্তিটি এখন আলোচনা এবং ভোটের জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় স্থানান্তরিত হবে।
এদিকে, বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পরও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তা তিন ধাপে কার্যকর হবে।প্রথম ধাপে হামাসের হাতে আটক ৩৩ বন্দীর মুক্তির পরিবর্তে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হবে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী আরো পূর্ব দিকে সরে যাবে। এল ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এছাড়া ত্রাণবাহিনী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দীদের মুক্তি এবং ‘টেকসই শান্তির’ জন্য ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি।তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দী থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল থানি বলেন, চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সবিস্তারে জানানো হবে।তিনি আরো জানান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর এই চুক্তি করার বিষয়ে সহায়তা করেছে এবং তারা ইসরাইল ও হামাস যেন চুক্তির সব শর্ত মেনে চলে, সেজন্যও তারা সচেষ্ট থাকবে।
সূত্র : আল জাজিরা